স্টাফ রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকাগত দ্বন্দ্বের জের ধরে শেরপুর জেলা শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে শ্রমিক ফেডারেশন। অন্যথায় তারা সকল শ্রমিক সংগঠন নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খোয়ারপাড় মোড়ে শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ওই আলটিমেটাম দেন।
শেরপুর জেলা হোটেল ও রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা হোটেল ও রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের কালা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ মিয়া, জেলা বয়লার ও রাইস মিল মিস্ত্রী-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মজনু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিচু, রাজমিস্ত্রি শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজমিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক বকুল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ প্রমুখ। আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল আবির-নিবিরের ম্যানেজার মোঃ জামিল হোসেন।
উল্লেখ্য, এলাকাগত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গৌরীপুর এলাকার মোস্তাক আহমেদ বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন যুবক রামদা, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড নিয়ে খোয়ারপাড় মোড়ে অভিজাত আবির-নিবির হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ওইসময় সন্ত্রাসীরা ক্যাশবাক্স লুট করে নেয়। বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা ওই হোটেল মালিকের ছোটভাই ও ম্যানেজার জামিল হোসেন ও ৪ কর্মচারীকে বেধড়ক মারপিট করে। ওইসময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উল্লাস করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তারা এলাকা ত্যাগ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় মমিন মিয়া নামে এক হোটেল শ্রমিককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে অন্যান্য একাধিক জখম ছাড়াও ডান হাতের রগ কেটে যাওয়ায় সে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাবুল ও রাজ্জাক নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে সোপর্দ করে। তবে ঘটনার মূল হোতা বাচ্চুসহ অন্যদের কেউ গ্রেফতার হয়নি এখনও।
