স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভাঙচুর ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের ২৯ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্যকাজে কাজে বাধা ও অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আটক ২৬ শিক্ষার্থীকে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বন্দে আলী গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সেলিম মিয়া তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হামলায় গাড়ী ও মালামালসহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হলেও প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ অভিযোগ করেছে, আইডিইবি’র কতিপয় নেতা ও শিক্ষকের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ ও উস্কানিতে ওই হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় কর্তৃপক্ষ নীরব রয়েছে। এদিকে, এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এলাকায় অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ ও ভাংচুরের ঘটনায় বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের টানা ৪ ঘন্টা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইসময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ অন্তত: ৬০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
