স্টাফ রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকাগত দ্বন্দ্বের জের ধরে শেরপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে জেলা শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত: ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, শহরের খোয়ারপাড় ও গৌরীপুর মহল্লার উঠতি যুবকদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার সকালে গৌরীপুর এলাকার এক যুবককে লাঞ্চিত করে খোয়ারপাড় এলাকার কতিপয় যুবক। ওই ঘটনার সূত্র ধরে রাত ১০টার দিকে গৌরীপুর এলাকার মোস্তাক আহমেদ বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন যুবক রামদা, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড নিয়ে খোয়ারপাড় মোড়ে অভিজাত আবির-নিবির হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ওইসময় সন্ত্রাসীরা ক্যাশবাক্স লুট করে নেয়। বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা ওই হোটেল মালিকের ছোটভাই জামিল হোসেন ও ৪ কর্মচারীকে বেধড়ক মারপিট করে। ওইসময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উল্লাস করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তারা এলাকা ত্যাগ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় মমিন মিয়া নামে এক কর্মচারীকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রাজু ও বাবুল নামে দুই যুবককে আটক করে। হোটেল মালিক মোঃ মানিক মিয়া জানান, সন্ত্রাসী হামলায় তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি এবং ক্যাশ বাক্স থেকে আনুমানিক ৭০/৮০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। ওই ঘটনায় মোস্তাক আহমেদ বাচ্চুসহ ৩১ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত মাজহারুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
