যশোর সংবাদদাতা : এবার যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চৌগাছার সিংহঝুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংহঝুলি হাই স্কুলের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। জিল্লুর রহমান মিন্টু চৌগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক আতিউর রহমানের ছেলে। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টু বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংহঝুলি হাইস্কুলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি অনুষ্ঠান শেষে বেলা আড়াইটার দিকে স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে অজ্ঞাতনামা ২ দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে তাকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। একটি গুলি তার বুকের বাম দিক এবং অপরটি তার পাঁজরে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। এ হত্যাকাণ্ডের খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের খবরে মিন্টুর স্ত্রী মিতা আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
এদিকে, ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চৌগাছায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ চৌগাছায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল ডেকেছে। একইভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চৌগাছায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে চৌগাছা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে সোনালী ব্যাংক চত্বরে পথসভায় বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান কবির চৌগাছায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতালের ডাক দেন।
এব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম আরিফুল হক ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টুর হত্যাকারীদের শনাক্ত ও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই হত্যাকাণ্ডের ৩দিন আগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে একই ইউনিয়নেই দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন যুবদল কর্মী আতিয়ার রহমান (৪৫)। আতিয়ার সিংহঝুলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশা হত্যা মামলার আসামি। ২০০২ সালের ২৪ জুলাই দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন চেয়ারম্যান আশা। ধারাবাহিক ওইসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে চলছে নানামুখী গুঞ্জন।
