তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সদরে মঙ্গলবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে প্রকাশ্যে স্বর্ণের দোকান থেকে কোটি টাকার স্বর্ণ লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্বর্ণ দোকানের ম্যানেজার ও এক মাছ ব্যবসায়ীসহ অন্তত: ৫ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে। বুধবার সকাল থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট করে।
দোকান মালিক রনজিৎ বণিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৮টায় বাজারে বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের আলো ছিল না। এ সময় আছু শাহ ফকির রোড দিয়ে ২০-২৫ জনের কালো মুখোশ পরিহিত দৃর্বৃত্ত দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারের চতুর্দিকে ২৫-৩০টি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয় ভেবে দোকানের দরজা বন্ধ করে দিক-বেদিক ছুটাছুটি করে। এ সুযোগে ওই দূর্বৃত্তরা আছুশাহ ফকির রোডের শ্রী দুর্গা জুয়েলার্স এর সোকেস ভাংচুর করে কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে। এরপর তারা আবার বোমা ফাটিয়ে একই রোডে কিং শ্রীপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দোকান ম্যানেজার বাপ্পি ও বোমায় মাছ ব্যবসায়ী এয়াকুব আহত হয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ইসমাইল মিঞার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে এবং জড়িতদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় দুইদিন ব্যাপী ধর্মঘট পালন করছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বুধবার সকাল ৯টা থেকে ওই ধর্মঘট শুরু হয়। এতে মহিলা স্বর্ণ ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির নরেশ বণিক জানান, হামলা চালিয়ে স্বর্ণ লুটের ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা বুধ ও বৃহস্পতিবার ধর্মঘট পালন করছে।
