স্টাফ রিপোর্টার : দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে সরকারের সদিচ্ছার সুবিধা পাচ্ছে শেরপুরের লোকজন। ওই স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবেই এবার শেরপুরের পল্লীতেও এক গৃহবধূ সন্তান প্রসব করেছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের চরখারচর কমিউনিটি ক্লিনিকে ওই সফল ডেলিভারী হয় স্থানীয় কৃষক খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগমের। নাজমা বেগম দ্বিতীয় দফায় গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা নিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব ব্যথা শুরু হলেই তিনি নির্ভয়ে গিয়ে ওঠেন ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে। ডাক্তার ছাড়াই প্রশিক্ষিত সিএইচসিপি মোছাঃ রোসমিনা খাতুনের দ্বারস্থ হলে তিনি ডেকে নেন সদর হাসপাতালের এক সিনিয়র নার্সকে। অবশেষে দু’ঘন্টার মধ্যেই সফল ডেলিভারী হয় গৃহবধূ নাজমার। জন্ম হয় ফুটফুটে পুত্র ও দ্বিতীয় সন্তানের। ঘন্টাখানেক পর জ্ঞান ফিরতেই নাজমা তাকিয়ে দেখে তার নবাগত ফুটফুটে সন্তানকে। প্রচন্ড ব্যথায় নিস্তেজ হয়েও সন্তানের মুখ দেখে তার মুখে ফুটে ওঠে হাসির ঝিলিক। ওই ঝিলিকের দ্যূতি ছড়ায় নাজমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ এলাকাবাসীর মুখেও। তারা এখন বেজায় খুশি পল্লীর কমিউনিটি ক্লিনিকে সন্তান ডেলিভারীর ঘটনায়। খবর শুনে পরিদর্শন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন, এইচআই সাব্বির আহমেদ, এএইচআই মজিবর রহমান।
এদিকে, এলাকাতেই স্ত্রীর সফল ডেলিভারীতে এক প্রতিক্রিয়ায় নবাগত সন্তানের জনক খলিলুর রহমান জানান, ‘বিনা খরচায় ঘরের কাছে এই সুবিধাডা পাইলাম শেখের বেডি হাসিনার কারণেই। এহন হুনি হাসিনাও আমগোর মত লোহের সাথেও মোবাইলে কথা কয়। আল্লায় তারে বাচাইয়া রাহুক। আমার নাজমার মত অহন থাইকা ঘরের কাছেই সন্তান হওয়াইবার সুযোগ পাইব অনেক গাঁও-গেরামের মহিলারা। এইডা কোন কম কতানা।’
