শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আরো একদল অভিযাত্রী গিয়ে পৌঁছেছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে. পাইলট চালিত মহাকাশ যান ’সইউজ’। ৩৮তম রুশ মহাকাশচারী দলের ওলেগ কোতভ ও সের্গেই রিয়াজান্তসেভ সেখানে একধিক পরীা-নিরীা ছাড়াও বিশেষ এক মিশনে থাকবেন। আগামী নভেম্বরে ’সোচী -২০১৪’ অলিম্পিকের মশাল নিয়ে বের হবেন খোলা মহাকাশে।

নতুন প্রযুক্তিগত নকশা অনুযায়ী “সইউজ” মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। বিগত গুলোতে এর জন্য সময় লাগত দুই দিন।
এই বারের অভিযাত্রীদের রাশিয়ার দুজন মহাকাশচারীই চিকিৎসক। এছাড়া মহাকাশ যানের ইঞ্জিনিয়ার সের্গেই রিয়াজান্তসেভ ও আমেরিকার অ্যাস্ট্রোনট মাইকেল হপকিনস এর জন্য এটি প্রথমবারের মতো মহাকাশ অভিযান আর
ওলেগ কোতভের জন্য এটা তৃতীয় মহাকাশ অভিযান।
রাশিয়ার মহাকাশচারীদের কাজের পরিকল্পনার মধ্যে বেশ কয়েক ডজন বৈজ্ঞানিক পরীা থাকছে. প্রধান দিকে চারটে. এটা মহাকাশের বায়োটেকনোলজি, প্রযুক্তিগত পরীা, পৃথিবী ও মহাকাশ নিয়ে গবেষণা, মহাকাশ গবেষণা নিয়ে প্রশিণ ও তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি. তাঁদের পাঁচটি মালবাহী যানকে সাাত্ করতে হবে. ফেব্রুয়ারী মাসে তাঁদের কাজের সময়ের বাইরের অবসরের সময়ে তাঁরা অলিম্পিক দেখবেন. মহাকাশে সম্পূর্ণ মানের টেলিভিশন সম্প্রচার দেখা সম্ভব নয়, তাই আলাদা করে বিভিন্ন বিষয়ে মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যেই বলে রেখেছেন. সুতরাং রাশিয়ার জাতীয় দলের জন্য তাঁরা পুরোপুরি ভাবেই “সমর্থন” করতে পারবেন. কিন্তু তার আগে তাঁদের নিজেদেরই অলিম্পিকের মিশন সফল করতে হবে. ৭ই নভেম্বর ৩৯তম মহাকাশ অভিযানের যাত্রীরা মহাকাশে অলিম্পিকের মশাল নিয়ে যাবেন, ৯ই নভেম্বর তা খোলা মহাকাশে ওলেগ কোতভ ও সের্গেই রিয়াজান্তসেভ বের করে নিয়ে যাবেন. দুই দিন পরেই “সোচী- ২০১৪” সালের মশাল পৃথিবীতে ফিরে আসবে
