ads

মঙ্গলবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

প্রসঙ্গ : নিু আদালতে শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের জামিন –শাহ আলম বাবুল

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৩ ১০:১২ অপরাহ্ণ

Shahউচ্চ আদালতে নামঞ্জুর হওয়ার পরও শিশু ধর্ষণের মত লোমহর্ষক ঘটনার মামলায় নিু আদালত থেকে ধর্ষকের জামিন সংক্রান্ত একটি সংবাদ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ায়। প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নামঞ্জুর হওয়ার পরও ধর্ষণের মামলাতে ধর্ষকের জামিন মেলে শেরপুরের খোদ নিু আদালতেই। নকলা উপজেলার বারমাইসা গ্রামের এক কৃষক পরিবারের ৬ বছরের শিশুকন্যাকে ২৪ মার্চ বিকেলে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের এমনই এক মামলায় গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম নামে ওই ধর্ষককে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদের জামিন দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে শেরপুরের আদালত পাড়ায়।
খবরে প্রকাশ, ওই ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর পিতার দায়ের করা মামলায় ১ মে থানা পুলিশ ধর্ষক নজরুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ওই মামলায় ২৬ জুন জেলা ও দায়রা জজ রবিউল হাসান মামলার ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা, ভিকটিমের অবস্থা, আলামত ও বিষেশজ্ঞ রিপোর্টের ভিত্তিতে তা নামঞ্জুর করে দেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের ওই নামঞ্জুর আদেশের পরও ২৯ জুলাই নিু আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাবিবুল্লাহ মাহমুদ ধর্ষক নজরুলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মুক্ত করে দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতপাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং মামলাটি বিচারের জন্য বদলী হলে রাষ্ট্রপক্ষের জামিন বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ রবিউল হাসান নিু আদালতের জামিনে থাকা নজরুলের জামিন বাতিল করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। একই আদালতে ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তার জামিন নামঞ্জুর হয়। প্রকাশিত খবরটিতে ভারপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডুর ভাষ্য উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় এমনিতেই নিু আদালতের জামিন ক্ষমতা নেই। তদুপরি শিশু ধর্ষণের মত লোমহর্ষক ঘটনায় নিু আদালত থেকে ধর্ষকের জামিনপ্রাপ্তির বিষয়টি নি:সন্দেহে উদ্বেগজনক। এতে বিচারপ্রার্থী মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই ট্রাইব্যুনাল তার জামিন বাতিল করেছে।
খবরটি নি:সন্দেহে যুগপৎ অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক এজন্য যে, যেখানে পুন:পুন আইন প্রণয়ন, সংশোধন ও অপরাধের ধরন বিবেচনায় অপরাধীদের সাজার পরিমাণ বাড়ানোর সাথে যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা, সেক্ষেত্রে একজন শিশু ধর্ষণকারী মানুষরূপী নরপশু যখন খোদ নিু আদালত থেকেই জামিন পেয়ে যায়, তাও আবার তা উচ্চ আদালতে নামঞ্জুর হওয়ার পর- তখন আর ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল আদালতের প্রতি বিচারপ্রার্থী মানুষের আস্থা থাকে কোথায়? অপরাধীর প্রকারভেদ-ধরণ বিবেচনায় কোন কোনটা জামিনযোগ্য এবং তার কোন কোনটা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবৃত রয়েছে ফৌজদারী অপরাধ আইনেই। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন আইনসহ কিছু কিছু আইনে নিু আদালতের জামিন এখতিয়ার রহিত করা হয়েছে স্ব-স্ব আইনেই। আর নিজের ওই খোদ এখতিয়ারটিই খতিয়ে না দেখে এবং উচ্চ আদালত নাকচ করার পরও শিশু ধর্ষণের মত ঘৃণ্য ও পৈশাচিক ঘটনার একই মামলায় একই আসামীকে যখন জামিনে মুক্ত করে দিতে কুণ্ঠিত হননা নিু আদালত, তখন বিচারপ্রার্থী মানুষ যেমন আস্থা হারিয়ে ফেলে, ঠিক তেমনি উচ্চ আদালতের প্রতিও তার বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের নজির স্থাপিত হয় বৈকি? তবে আইনজ্ঞদের মতে, নিু আদালতের ওই যাচ্ছেতাই আদেশের বিষয়ে তার নিয়ন্ত্রক জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটেরই ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ওই আলোচিত ঘটনার পরও তার বিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষমতাহীনের ক্ষমতার দাপট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আমরা আশা রাখব, শেরপুরের নিু আদালত থেকে শিশু ধর্ষণের মামলায় ধর্ষকের জামিন দেওয়ার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির শেষ আশ্রয়স্থল বিচারালয়ের প্রতি মানুষের আস্থা ঠিক রাখতে নিু আদালতের কর্তৃত্ব ও এখতিয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করবেন। তা নাহলে ‘কোথায় যাই, কার কাছে যাই’ এমনই অবস্থার শিকার অসহায় মানুষগুলোর আশ্রয়লাভের শেষ জায়গা থাকবে কোথায়?

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!