শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের দক্ষতা যাচাইযের জন্য চালু হতে যাচ্ছে একটি পরীক্ষা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির নাম ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন’ যার সংক্ষিপ্ত রূপে বলা হচ্ছে ‘আইটিইই’। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তত্বাবধানে এবং জাপান সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বিডি-আইটেক এর মাধ্যমে আইটি ইঞ্জিনিয়ারর্স এক্সামিনেশন সেন্টারে ওই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর সহযোগিতায় বিডি হাইটেক আযোজিত বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে ওই ঘোষণা দেয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক জনাব এস.এম আশফাক হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ হোসেন, বুয়েটের ইইই বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, বেসিস সভাপতি শামীম হাসান প্রমুখ ্উপস্থিত ছিলেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুল ইসলাম সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রকল্প পরিচালক জনাব আমজাদ হোসেন জানান জাপানে ওই পরীক্ষাটিকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের মাননিয়ন্ত্রক ও মানদন্ড পরিমাপক হিসেবে জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। জাপানে বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নিজেদের যোগ্যতা যাচাইয়ের সুযোগ পায়। এর পূর্বে এশিয়া আঞ্চলে ১২ দেশে এ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এ উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশের অনেক প্রযুক্তি পেশাজীবী ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের যোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ পাবে।
এ বছরের আক্টোবর থেকে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে দু’টি প্রস্তুতি মুলক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং এ পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়মিত বজায় রাখার চেস্টা করা হবে এমনটি জানিযেছে সেমিনারের আয়োজক।
এ পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মাঝে সনদ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীগণ এ পরীক্ষার সনদ অর্জন করে বাংলাদেশের পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যোগ্যতা উপস্থাপনের সুযোগ পাবে। এমন একটি পদ্ধতি আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশর তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীগণ।
