শ্যামলবাংলা ডেস্ক : অবশেষে একসাথেই পাড়ি জমাল না ফেরার দেশে। একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল তারা। ইহজগতে একসাথে ঘর বাধার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার হতাশায় শেষ পর্যন্ত একসাথেই পাড়ি জমাল পরপারে। সেইসাথে চিরকুট রেখে জানান দিয়ে গেছে- ‘একসঙ্গে কবর দিও’। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট এলাকায়। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে নিজেদের বাড়ির পেছনের পুকুর পাড় থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই প্রেমিক যুগল হচ্ছে নোয়াপাড়া চৌধুরীহাটের সৌদি আরব প্রবাসী সালেহ আহমদের ছেলে রমজান আলী (২০) ও একই পাড়ার মো. ইদ্রিসের মেয়ে সুখী আকতার (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজান ও সুখী একে অপরকে পছন্দ করত। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল তারা।
রাউজান থানার নোয়া পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই টুটন মজুমদার বলেন, বাড়ির পেছনে একটি জাম গাছে শাড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে। ওই সময় তারা একে অন্যের কোমরও বেঁধে রেখেছিল। ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাদের ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন দ্রুত তাদের নামিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা তাদের ওই মৃত্যুর জন্য ‘কেউ দায়ী নয়’ উল্লেখ করে একটি চিরকুটে তাদের লাশ একসঙ্গে দাফন করার অনুরোধ জানিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। ওই প্রেমিক যুগলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
