কুমিল্লা সংবাদদাতা : বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘ ৩ বছর পর কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর এক দ্রুত বিচার আইনের মামলায় বিএনপি’র সাক্কু-ইয়াছিন গ্র“পের ৪১জন নেতা-কর্মী খালাস পেয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাবরিনা নার্গিস।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরী’র কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে বিএনপি’র প্রতিনিধি সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সাক্কু গ্র“প-ইয়াছিন গ্র“পের মধ্যে লাঠি-সোটা, রাম দা, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানার এস.আই দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ৪১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১০ সালের ১৯ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলা বিচার কার্যক্রম শুরু হলে শেষ হতে লেগে যায় দীর্ঘ ৩ বছর। এরপর ওই মামলায় আসামীগণের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্র পক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. সহিদুর রহমান সাঈদ এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. আলী আক্কাস, অ্যাড. কাইয়মূল হক রিংকু। এ ব্যাপারে রাষ্ট্র পক্ষে নিযুক্তিয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. সহিদুর রহমান সাঈদ জানান, রাষ্ট্র পক্ষে মানীত স্বাক্ষীদের প্রতি ওয়ারেন্ট ইস্যু করেও আদালতে হাজির করানো সম্ভব হয়নি বিধায় যথাযথ স্বাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে ৪১জন আসামী খালাস পেয়েছেন।
