স্টাফ রিপোর্টার : অনেক বঞ্চনা-অবহেলায় সৃষ্ট ক্ষোভে যখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পুড়ছে, ঠিক তখন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক আশা-আকাঙ্খা নিয়ে এবার শেরপুরে হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত ওই বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোঃ জাফর উল্লাহ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহাম্মদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এমপি, হুইপ মির্জা আযম, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি প্রমুখ। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আয়োজিত বর্ধিত সভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সভায় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ১ হাজার ৫শ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। তবে এবারও উপস্থিত থাকছেন না জেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য, শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) নির্বাচনী এলাকার সাংসদ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। অবশ্য এবার সাংগঠনিক সফরে ভিন্ন এলাকার দায়িত্বে আছেন তিনি।
এদিকে ওই বর্ধিত সভাকে ঘিরে তৃণমূলের অবহেলিত-বঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে আশা-আকঙ্খার সৃষ্টি হলেও আগামী নির্বাচনের পূর্বে দলের বিভিন্ন ইউনিটের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় মোটেই কাটেনি। তবে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্তে তারা অনেকটাই খুশি।
উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা সমাপ্তকরণ সাপেক্ষে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশের সিদ্ধান্ত হলেও ৫ উপজেলা ও উপজেলার মর্যাদা প্রাপ্ত শেরপুর শহর শাখার মধ্যে কেবল শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়সারা বর্ধিত সভা হয়েছে।
