শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ভারতের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপিতে ব্যাপক তোড়জোড় চলছে। ইতোমধ্যে অনেক জল্পনা-কল্পনা আর বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিল্লিতে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনীত করা হয়। তবে দলের ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি বর্ষীয়ান নেতা এল. কে আদভানি। তার আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। আপত্তি ধোপে টিকবে না জেনে গতকাল পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভা বয়কট করেন। স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় দিল্লিতে দলীয় সদর দফতরে শুরু হয় ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভা। সন্ধ্যা ৭টায় মোদিকে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। মোদির ৬৩তম জন্মদিন সামনে রেখে ওই বোর্ড সভার আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর আগে গুজরাট থেকে দিল্লিতে গিয়ে গুজরাট ভবনে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মোদি। মনোনীত হয়ে দলীয় সদর দফতরে মোদি বলেন, নির্বাচনে জয়ের জন্য তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন। ওই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং তার দলের নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার (এনডিএ) মিত্র দল শিবসেনা ও শিরোমণি আকালি দলকে জানিয়েছেন, মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।

এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত না হলেও ওই পদে ঘুরে ফিরে চলে আসছে দলের সহ-সভাপতি ও সোনিয়া গান্ধী তনয় রাহুল গান্ধীর নামটিই। একটি অংশ দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর তনয় রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও পরর্বতী প্রধান মন্ত্রী হতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীর প্রতিই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি রীতিমতো রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য নানাভাবে উৎসাহিত করছেন। তিনি বলেছেন, রাহুলই হবে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী পদে ‘আদর্শ পছন্দ’। তিনি বলেছেন, আমি রাহুলের অধীনে কংগ্রেসে কাজ করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করব। এর পর থেকেই দলের মধ্যে এ নিয়ে নানা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননিসোনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার ইকনোমিক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনিয়া এবার নির্বাচনী প্রচারে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।
