স্টাফ রিপোর্টার : এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে একই দিনে শেরপুর শহরে গাড়ী ভাংচুরের পৃথক ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ওই মামলাটি দায়ের হলেও এজাহারভূক্ত ৩জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ৬ জনকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম শহীদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ক্রিসেন্ট, মিল্টন চৌধুরী, ফরহাদ আলী, আব্দুস সাত্তার, আমিনুল ইসলাম, শান্ত ও মাসুদসহ ১২ জন আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেছেন। অপরদিকে শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আলহাজ্ব মো. হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাতেম আলী চেয়ারম্যানসহ ১০ নেতা-কর্মী পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতারের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা শহরে কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। পরদিন থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইন এবং পুলিশ অ্যাসল্টের পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলা দুটির তদন্তের শেষ পর্যায়ে একই দিনে গাড়ি ভাঙচুরের পৃথক ঘটনায় ২৫ আগস্ট আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন লুতফর রহমান নামে এক গাড়ীর হেলপার।
