ads

বৃহস্পতিবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র রমজান হত্যা : গ্রেফতার হয়নি মূল পরিকল্পনাকারী : আদালতে ২ ঘাতকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৩ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

Romjanস্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র রমজান হত্যা মামলায় ২ ঘাতক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট যাবিদ হোসেনের আদালতে গ্রেফতারকৃত রিপন ও হামিদুল ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আফরোজা।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সরোয়ার হোসেন ওই ২ ঘাতকের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, রিপন ও হামিদুলকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার চুক্তি করেছিল আফরোজা নামের এক নারী যিনি রিপনের মামাতো বোন ও পুরো ঘটনার পরিকল্পনাকারী। আফরোজার উদ্দেশ্য ছিল স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে রমজানকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে রাতারাতি বড় লোক বনে যাবে। চুক্তি আর পরিকল্পনা মোতাবেক রিপন ও হামিদুল মিলে রমজানকে অপহরণ করে। প্রথম দিকে রমজান শিকদারের পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হলেও আফরোজার টার্গেট ছিল মোটা অঙ্কের টাকা।
এদিকে অপহরণের পর শেরপুরের নকলায় রমজানকে নেওয়ার পর সেখানে সে তার মা মর্জিনা বেগমরে কাছে যাওয়ার জন্য বারবার কান্না করছিল। এসময় অপহরণকারীদের বুঝতে পারে রমজান এভাবে কান্না করলে আশেপাশের মানুষ অপহরণ বিষয়টি টের পেয়ে যেতে পারে। তাই সে সময়ই রমজানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা।  হত্যার পর রমজানের লাশ একটি ঝোপে ফেলে রাখা হয়। পরে নকলা থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে প্রথমে হামিদুলকে আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক স্থানীয় একটি ব্রিজের কাছ থেকে  রমজানের লাশ উদ্ধার করে। এর পর পরই আটক করে রিপনকে। অন্যদিকে, হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে পালিয়ে যায় আফরোজা। ওই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ হামিদুল ও রিপনসহ ৫জনকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আফরোজা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকার একটি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতো। আত্মীয়তার সুবাধে আফরোজা মাঝে মাঝেই রিপনের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসতো। এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন জানান, আফরোজাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি এলাকার মৃত ইসমাইল শিকদারের ছেলে এবং সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র রমজান শিকদার (৯) কে শনিবার বিকেলে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবিতে নকলায় নিয়ে যায় ২ অপহরণকারী। রবিবার রাত ১২ টার দিকে নকলা উপজেলার চাপাঝুড়ি সেতুর নিকট থেকে অপহৃত ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার হয়।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!