শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সিলেট সদরে নিজের শিশুকন্যাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নগরীর দরগা গেটের হোটেল আল আকসার তৃতীয় তলার ৩৫ নম্বর রুমে ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম সাদিয়া আফরিন (২) ও তার বাবার নাম আলিমুল্লাহ (৩০)। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ঔষধতলা গ্রামে।
এ বিষয়ে হোটেল আল আকসার ম্যানেজার হুমায়ন কবির জানান, বুধবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে সস্ত্রীক রুম বুকিং নেন আলিমুল্লাহ। এর কিছুক্ষণ পরই তার স্ত্রী ফাতেমা আফরিন রিসিপশনে এসে জানান, তার স্বামী তাদের সন্তানকে জবাই করেছে।
তখন হোটেল ম্যানেজার ওই রুমে গিয়ে দেখতে পান আলিমুল্লাহ মেয়েকের হত্যার পর নিজে ৩ তলার বারান্দা দিয়ে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। ওই সময় তারা তাকে বাধা দিলে আপাতত নিবৃত্ত হন তিনি। পরে ম্যানেজার তাকে রুমে আটকে রেখে পুলিশকে ফোন দিতে যাওয়ার পর আলিমুল্লাহ গলায় ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির হোসেন নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, আলিমুল্লাহ প্রথমে শিশুকে হত্যা করে। পরে গলায় ছুরির আঘাতে আত্মহত্যা করেন। তিনি আরও জানান, নিহতের স্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কী কারণে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে লাশের ময়না তদন্ত শেষে হত্যার বিষয়ে পুরোপুরি জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, নিহত আলিমুল্লাহর স্ত্রী ফাতেমা আফরিন জানান, বুধবার ভোরে তারা সিলেট দরগায় জিয়ারত করতে হোটেলে যান। এরপর তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাদের মেয়েকে স্বামী ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কিনা বা তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দাম্পত্য কলহ ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সে ধরনের কোনো ঘটনাই আগে-পরে ঘটেনি।
