শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ক্ষমতায় গেলে আগামীতে আমরা নতুন ধারার সরকার গঠন করার ঘোষণা দিলেন ১৮ দলীয় জোট নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া । ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার নরসিংদীর দোগরিয়ায় বালুর মাঠে আয়োজিত সমাবেশে ওই কথা বলেন। তিনি বলেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসার রাজনৈতি করবে না। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী আজীবন ক্ষমতায় থাকতেই সংবিধান সংশোধন করে নিজের মতো করে সাজিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছেন। সরকার সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধি যুক্ত না করলে ‘লাগাতার কর্মসূচির’ হুমকি দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, দাবি না মানলে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ যতোদিন থাকবে এ বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৫ সালে যখন তত্ত্বাধায়কের জন্য আন্দোলন করেছিলো তখনও এই পদ্ধতি সংবিধানে ছিলো না। তারা এই দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলো। জ্বালাও পোড়াও করেছিলো। গায়ের জোরে বলেছিলো নির্বাচনে অংশ নেবো না । নির্বাচন হতে দিবো না। আর এখন তারা সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সংসদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করতে হবে। নির্দলীয় কিংবা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমাদের জোট যাবে না। একদলীয় নির্বাচনও হতে দেয়া হবে না।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়া বেলা ১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের কার্যালয় থেকে নরসিংদীর পথে রওনা হয়ে বিকেল পৌনে ৫টায় নরসিংদী বালুর মাঠে পৌছান।

নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকনের সভাপতিত্বে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন আন্দালিব রহমান, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য এম শামসুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মইন খান, জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান ফারুক, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব স্থানীয় নেতাদের মধ্যে রোকেয়া আহমেদ লাকী, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, সুলতান উদ্দিন মোল্লা, মুঞ্জর এলাহী, দীন মোহাম্মদ দীপু , জামায়াতের মাওলানা অধ্যাপক শেখ মালেক, আবদুস সাত্তার, মোবারক হোসেন বক্তব্য দেন এই সমাবেশে।
