শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দেশবরেণ্য লেখক ইমদাদুল হক মিলনের ৫৮তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের লৌহজং থানার মেদিনীমণ্ডল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ইমদাদুল হক মিলনের শৈশব কেটেছে বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে। তিনি ঢাকার গেণ্ডারিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি এবং অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সাহিত্যাঙ্গনে তাঁর যাত্রা ১৯৭৩ সালে বন্ধু নামের ছোটগল্পের মাধ্যমে। তখন তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছিলেন। এরপর ১৯৭৬ সালে প্রথম উপন্যাস যাবজ্জীবন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পত্রিকা উত্তরাধিকার-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাস পাঠকমহলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানিতে কাটান। সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা পরাধীনতা তার আলোচিত উপন্যাস। অবশ্য প্রথম গ্রন্থ ভালবাসার গল্প (১৯৭৭) প্রকাশের পর তিনি বিপুলভাবে সংবর্ধিত ও পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
তার উপন্যাস নূরজাহানসহ অন্যান্য রচনাকে ইতিমধ্যে অগ্রগণ্য সাহিত্যের মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। গেল বছর এ উপন্যাসের জন্য তিনি ভারতের আইআইপিএম-সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। অর্থমূল্যের দিক থেকে এটি এশিয়ার সবচেয়ে দামি সাহিত্য পুরস্কার। কথাসাহিত্যের পাশাপাশি নাট্যকার হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইমদাদুল হক মিলন।
ইমদাদুল হক মিলন তার লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। এছাড়া হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, এস এম সুলতান পদক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন পদক, শেরেবাংলা পদক, টেনাশিনাস পুরস্কার, জাপান বিবেক সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা চোখ সাহিত্য পুরস্কার, জাপান রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
বরাবরই ইমদাদুল হক মিলন তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি ঘটা করে পালন করেন না। জন্মদিনে তিনি অবস্থান করেছেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কালের কণ্ঠ কার্যালয়ে। এখানেই শুভানুধ্যায়ীরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।