শ্যামলবাংলা ডেস্ক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানের খালাস পাওয়ার ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।
৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই কথা বলেন।
এই ঘটনাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে সীমানা নিয়ে চলমান অস্থিরতা কমানোর পথ কঠিন হয়ে গেলো। এই হত্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে ভারতের মানবাধিকার কমিশনকে অনুরোধ করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই মামলা ভারতে হয়েছে, সেহেতু সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপিল তাদেরই করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর লাশ দীর্ঘণ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে। হৃদয় বিদারক এদৃশ্য সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দেয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। গত মার্চে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এরই পরিপ্রেেিত বিএসএফ সদর দপ্তর এ ঘটনার বিচার করতে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালত গঠন করে।
শুক্রবার দুপুরে ওই আদালত ফেলানী হত্যা মামলার রায়ে আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
