এম আর টি মিন্টু, শ্রীবরদী (শেরপুর) : কোরাম সংকটের পরও কোলাহল আর বিষোদগারের মধ্যদিয়েই ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ করা হয়েছ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা।

উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিনাল প্রধান অতিথি, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভাণু প্রধান বক্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ সালেহ বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খসরু, আ’লীগ নেতা ডি এম শহীদুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাবেক কমান্ডার হামিদুর রহমান, যুবগীল সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার বাবু, শ্রমিক লীগের আহব্বায়ক আবু জাফর, ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল আকন্দ, মেরাজ উদ্দিন, সুজন রেজা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা কৃষক লীগের আহব্বায়ক আব্দুল কাদের। সভায় জেলা আ’লীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদ প্রশাসক এডভোকেট আব্দুল হালিম, খন্দকার মুহম্মদ খুররম, মুহসিনুল বারী রুমি, কৃষিবিদ ফররুখ আহমদ ফারুক, আলহাজ্ব এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেছ নাইম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডা: ওয়ালিউজ্জামান আশরাফী লতা আমন্ত্রিত না হওয়ায় তাদের সমর্থক বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সভাস্থলের বাইরে অবস্থান নেয়। ।
উল্লেখ্য,সকাল ১১টায় ওই বর্ধিত সভা শুরুর কথা থাকলেও কাজ শুরু হয় বিকেল ৩ টায়। স্থানীয় শহীদ বীর বিক্রম শাহ মোন্তাসিম বিল্লাহ খুররম অডিটরিয়ামে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রথমদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির ৫৭ সদস্য এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদকসহ প্রায় ৭০/৮০ জন সদস্যের মধ্যে ৪০/৪৫ জন সদস্য উপস্থিত হলেও একপেশে স্তুতি আর বাগারম্ভর এবং বিষোদগারমূলক বতৃতায় অনেকটা অস্বস্তি বোধকরেই সভাত্যাগ করেন উপস্থিত সদস্যের অনেকেই। ফলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃনমূলের নেতা কর্মীদের সাথে দূরত্ব কমিয়ে দলকে সংগঠিত এবং ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে আহুত ওই বর্ধিত সভা কোন কাজেই আসবে না বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
