পাবনা প্রতিনিধি : পদ্মা নদীর পানি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত গ্রাম গুলো হলো লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর, দাদাপুর, চরকুড়–লিয়া ও বিলকেদা গ্রাম। কামালপুর গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, আর অল্প কিছুদিন পরেই আমার ১৫ বিঘা জমির ফসল বিক্রির উপযোগী হতো। কিন্তু হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে আমার সব ফসলই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়াতে এখন বউ বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। একই এলাকার চাঁদ আলী বিশ্বাস, মোহাম্মদ মির্জাসহ অনেক কৃষক জানান, এবার রাক্ষুসী পদ্মার ভয়াবহ ছোবলে উঠতি ফসল তলিয়ে যাওয়ায় তাদের এখন পথে বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এলাকাবাসি ও ক্ষতিগ্রহস্থ কৃষকেরা জানায়, এই সকল গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠের ফুলকপি, বাধা কপি, মূলা, কাঁচা মরিচ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির মাঠ এবং শত শত বিঘা আখের জমি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মোল্লা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে চরকুড়–লিয়া, বিলকেদা কামালপুর, দাদাপুর গ্রামের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির ফসল পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে তাদের আবাদকৃত ফসল রক্ষা করতে পারেনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নে মাত্র দুই দিনে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই মুহুর্তে ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ওই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সাথে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করার উদ্যোগ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। পানি বন্দি ফসল থেকে পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান সঠিক ভাবে বলা মুশকিল


