স্টাফ রিপোর্টার : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুরে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ওই কর্মসূচীর আওতায় ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেরপুরের ৫ উপজেলা ও সমমানের শেরপুর শহর আওয়ামীগের বর্ধিত সভা এবং ১১ অথবা ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় ওই দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে নবনির্মিত পৌর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ প্রশাসক এডভোকেট মোঃ আব্দুল হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, শেরপুর পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমান, সাবেক মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, মোঃ খোরশেদুজ্জামান, আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ অদু, খন্দকার নজরুল ইসলাম, জমসেদ আলী, ফখরুল মজিদ খোকন, ছানোয়ার হোসেন ছানু, মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, এডভোকেট সুব্রত কুমার,দে ভানু, নাজিমুল হক নাজিম,,দেবাশীষ ভট্টাচার্য, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, বশিরুল ইসলাম শেলু, আব্দুল্লাহ আবু ছালেহ, আলহাজ্ব দুলাল উদ্দিন, আলহাজ এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম, গোলাম রব্বানী, এডভোকেট আবুল কাশেম জিপি, রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মকছেদুর রহমান লেবু, গোলাম মোস্তফা, প্রকাশ দত্ত, বেলায়েত হোসেন প্রমূখ।
একাধিক সূত্র জানায়, ওই সভাটি নানাবিধ প্রসঙ্গে ছিল খুবই সরগরম। সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী সর্ম্পকে নকলা ও নালিতাবাড়ীতে দলের একাধিক নেতার কুৎসা মন্তব্য এবং তা জাতীয় একটি দৈনিকে ফলাও করে প্রকাশের বিষয়টি উত্থাপন করে অনেকেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠালে স্ব-স্ব উপজেলায় বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্তের বিষয় জেলা কমিটিকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সাংগঠনিক স্থবিরতা, মূল্যায়ন-অবমূল্যায়ন, কমিটির সদস্যদের সভার নোটিশ যথাযথভাবে না দেওয়া আর সমন্বয়হীনতার প্রশ্ন তুলে অনেকেই বক্তব্যে অংশ নেন। ওইসব বক্তব্য আর অভিযোগের কোন পাল্টা জবাব না দিয়ে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের ভূলত্র“টির দায় কাধে নিয়ে আগামী নির্বাচনে জাতীয়, দলীয় ও অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে ভেদাভেদ ভূলে কাজ করার আহবান জানালে উত্তপ্ত হয়ে উঠা সবাই হালকা হয়ে পড়েন। পরে তারা সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়ে সকলেই ঐক্যমত্য পোষণ করেন এবং সভা শেষে এক কাতারে বেরিয়ে যান।
উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১৫টি টিমের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। ওই সফরের অংশ হিসেবে শেরপুর জেলায় অনুষ্ঠিতব্য বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোঃ জাফর উল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম অংশ নেবেন। এ নিয়ে স্থানীয় দলীয় নেতা-কমীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
