ads

সোমবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত : আটক ৬

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২, ২০১৩ ৫:২৪ অপরাহ্ণ

52235ce64ba6b-Mymensinশ্যামলবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফুরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা ওরফে পাহাড়ি সেলিম (৪৫) নিহত হয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। ওই সংঘর্ষে নিহতের ছোট ভাই মজনুসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোররাতে ওই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ধোবাউড়া বাজার ও উপজেলার কয়েকটি স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশ। এরা হচ্ছে মিলন (১৮), মুরাদ (২০), ইদ্রিস আলী (৩৭), আ. জলিল (২৮), ইমরান (২৪) ও আল-আমিন (১৯)।  ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার ঘটনায় ধোবাউড়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে হিমঘরের সামনে অপেক্ষা করছে পরিবারের সদস্যরা। তবে, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও থানায় মামলা দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের খাবারের সময় স্থানীয় গামারীতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক খান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হুছাইনকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ফুরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা তাকে বকাঝকা করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক খান কক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম মৃধাকেও পাল্টা বকাঝকা করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই তাকে মারধর করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের উত্তেকজিত নেতাকর্মীরা রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে উপজেলা শহরের দু’দিক থেকে শহরের ভেতরে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে।
এরপর বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম মৃধা ও তার ছোট ভাই মজনুকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তলপেটে বর্শাবিদ্ধ হবার কারণে সেলিম মৃধার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারেই রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালে উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম মৃধার মৃত্যুর খবর শুনে সেখানে ছুটে যান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হকসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা ওই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!