স্টাফ রিপোর্টার : সময়ের ঘূর্ণায়মান তালে ছুটির অপর নাম যখন ব্যস্ততা, ঠিক তখন সাংসারিক ও কায়িক পরিশ্রমে ব্যস্ত থেকে সময় না কাটিয়ে স্বপ্ন বিলাসী অনেকেই ছুটির সময়টিকে কাজে লাগান নানান পরিকল্পনায়। ওই পরিকল্পনায় থাকে বই পড়া, ছবি দেখা, স্বজনদের সাথে মিশে থাকা, আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে যাওয়া, লেখালেখি কিংবা সংসারের বাড়তি কাজটুকু সেরে নেওয়া। ওইসব পরিকল্পনার মাঝেই থাকে ভ্রমণে যাওয়া। কিন্তু সেটাও আমাদের দেশে মৌসুমী।
কিন্তু এসব কিছুর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে শেরপুরের কয়েক বিচারক ও স্টাফ ছুটির একটি দিন কাটিয়েছেন আনন্দ ভ্রমণে। ওই ভ্রমণটিমের নেতৃত্বে ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সেলিম মিয়া। সাথে গিয়েছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বুলবুল আহমেদ। আর তাদের সাথে সিরাজগঞ্জ থেকে যোগ দিয়েছিলেন সম্প্রতি শেরপুর থেকে বদলী হয়ে যাওয়া সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ শরিফুল হক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর আরজুমান। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির রাশিদুজ্জামান রিন্টুর উৎসাহে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেসীর ২১জন স্টাফ ২৮ আগস্ট বুধবার জন্মাষ্টমীর ছুটিতে ঘুরে এসেছেন উচ্ছল-ঝলমল যমুনা নদীতীর, দেখে এসেছেন স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু সেতু। সকাল ৮ টায় দুটি মাইক্রোবাসযোগে জেলা সদর থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা পৌছে যান যমুনা ব্রিজের পূর্ব পাশে সেনা ক্যাম্পে। এরপর ব্রিজ ঘুরে, যমুনার তীর ঘুরে আর প্যাডেল বোট ভ্রমণে আনন্দের সময় কাটান তারা। ওই ভ্রমণের মাঝেই রিমঝিম বৃষ্টি তাদের আনন্দে যোগ করে নতুন মাত্রা। ঘোরাফেরার ধূলোবালি আর বৃষ্টির স্যাতস্যাতে শরীরেও তাদের ক্লান্তি আসেনি। ঘুরে ফিরে এককজন কিনে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যের তাতের গামছা-লুঙ্গি। কেউ কেউ কিনতে ভূলেনি রকমারী প্রসাধনী। এরপর সন্ধ্যার আলো-ঝলমল নয়নাভিরাম দৃশ্য না দেখে মন ফিরে আসতে না চাওয়ায় একাধিক দফায় লাঞ্চ-নাস্তা সেরে তারা কাটিয়ে দেন গোধুলিলগ্ন। এরপর বিদ্যুতের সোডিয়াম আলোয় নদীর জল টলোমল দৃশ্যকে স্মৃতির সঞ্চয় বাক্সে পুরে ফিরে আসেন অনিন্দ্য আনন্দ উপভোগের রকমফের আলোচনা সারতে সারতে। কিন্তু ওই ভ্রমণের আনন্দটা এমনই ছিল যে, ভ্রমনের গাড়ী গন্তব্যস্থলে পৌছার পরও তাদের মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের মতই ‘শেষ হইয়াও যার হইল না শেষ।’

