স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের রামেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে ওই ঘটনায় মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি নিতান্তই অফিসের লোকজনের অসাবধানতার কারণে, নাকি দুস্কৃতকারীদের দেয়া আগুনে হয়েছে তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে বিষয়টি রহস্যজনক বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার রামেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. জুলহাস উদ্দিন ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে পোড়া গন্ধ পায়। পরে বাড়ী থেকে চাবি নিয়ে অফিস কক্ষ খুলে সে দেখে কক্ষের একটি টেবিলে রক্ষিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, পাঠদানের বই, শিক্ষা উপকরণ, একটি গ্লোব এবং পাশের একটি তাকে রাখা পরীক্ষার কিছূ খাতা ও আসবাবপত্র ভষ্মিভূত হয়েছে। পরে দপ্তরি জুলহাস ঘটনাটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় এলাকাবাসিকে জানায়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম জানান, ২৬ আগস্ট সোমবার বিদ্যালয় ছুটি শেষে যথারীতি অফিস কক্ষ বন্ধ করে তিনি জেলা শহরের পূর্বশেরির বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের দপ্তরির মাধ্যমে তিনি অফিসকক্ষে অগ্নিকান্ডের ঘটনা শুনতে পান। তিনি দাবি করেন, ফজরের নামাজের আগের কোনো এক সময়ে দুস্কৃতকারীরা বাঁশের কঞ্চিতে পাট পেঁচিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে অফিস কক্ষের ভিতরে ছুড়ে দেয়। দুস্কৃতকারীদের ছোড়া আগুন টেবিলে পড়ে ফাইলপত্রে আগুন ধরে গিয়ে ওই ক্ষয়ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ওই বিরোধের জের ধরেই দুস্কৃতকারীরা ওই ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের অপচেষ্টা করেছে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। অপরদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষিকার স্বামীসহ তার পরিবারের ৩ সদস্য ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং স্থানীয় একটি মহলের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসলেও তারা প্রতিষ্ঠানটিকে পুজি করে মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের কৌশল নেয়। দরজা জানালা বন্ধ রাখা অফিস কক্ষে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটিও সেরকম কিনা তা নিয়ে এলাকায় রয়েছে ব্যাপক সংশয়।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল করিম ওই অগ্নিকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে শ্যামলবাংলাকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু হয়েছে। তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছেনা প্রকৃত ঘটনা কি।
