পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে পূর্বশত্র“তার জের ধরে আব্দুল বারী (৩৫) নামে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন যুবদলের এক কর্মীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের দূর্বৃত্তরা। ২৬ আগস্ট সোমবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়া এলাকায় ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল বারী (৩৫) আড়ামবাড়িয়ার গোপালপুর গ্রামের কোমর আলীর ছেলে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাক্কে মন্ডল ও যুবদল কর্মী বারীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জের ধরে আড়ামবাড়িয়া হামজা মন্ডল মার্কেটের সামনে বারীকে গুলি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় আড়ামবাড়িয়ায় হামজা মন্ডল মার্কেটে বসে আব্দুল বারীসহ বেশ কয়েকজন আলাপচারিতায় ব্যাস্ত ছিলেন। হঠাৎ সেখানে পিস্তল হাতে হাক্কে মন্ডলের ছেলে কনক (২৮), আব্দুল হাইয়ের ছেলে মাসুদ মন্ডল (২৫) ও ফটুর ছেলে তারেক (২৬)সহ নয়-দশজন যুবক হাজির হয়ে এলোপাথারী ভাবে ১৭-১৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি বারীর মাথায় লাগা মাত্র সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা টেংরা সরদার জানান, তিনি বারীর দিকে এগিয়ে গেলে তাকেও গুলি ছোড়ে। তবে তিনি সরে গেলে একটি গুলি মৃত জমির প্রামানিকের ছেলে ফজলু প্রামানিক (৭০) এর শরীরে লাগে। আশংকাজনক অবস্থায় ফজলুকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্র থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসি জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। পথচারী ও এলাকাবাসি দেখতে পান হামজা মন্ডল মার্কেটের সামনে কয়েকজন যুবক আব্দুল বারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে। এলাকাবাসি এগিয়ে এলে পিস্তল উচিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিমান কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বারীর স্ত্রী আরজিনা বেগম বাদী হয়ে হাক্কে মন্ডলের ছেলে কনককে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আড়ামবাড়িয়ার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ প্রামানিকের দুই ছেলে নাজিম এবং ইকবালকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আড়ামবাড়িয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
