পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় যৌতুকের দাবীতে মেয়ে জামাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শ্বশুর খুন হয়েছে। ২৫ আগস্ট রবিবার রাতে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের হোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আন্তাজ (৪০) হোটরা গ্রামের মৃত পালনের ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামাই আজাদের মা ও ফুফুকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নিহত আন্তাজের বড়ভাই ইউনুসের মেয়ে রুপালী খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আজাদের সাথে প্রায় ১০ /১২ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী আজাদ ও তার বাড়ির লোকজন রুপালী খাতুনের উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। রবিবার রাত ১০টার দিকে স্বামী আজাদ ও তার বাড়ির লোকজন রুপালী খাতুনের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এ সময় খবর পেয়ে রুপালীর পিতা ইউনুস ও তার কয়েক ভাই ঘটনাস্থলে গেলে আজাদ ও তার বাড়ির লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আন্তাজ ও তার ভাই মনতাজ গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আন্তাজ মারা যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জামাই আজাদ পলাতক থাকলেও পাবনা সদর থানা পুলিশ আজাদের মা ফরিদা বেগম (৪৫) এবং ফুফু নূর নেছা (৪৮) আটক করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন বাদী হয়ে পাবনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।