শ্যামলবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী নগরীর পাকুড়িয়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী স্বপ্না (৯) কে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সে নগরীর বড়গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। ওই ছাত্রীর বাবা মাঝিগ্রাম এলাকার ছিদ্দিক আলী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ আগস্ট শনিবার সকালে পুলিশ ধর্ষক সাইদুল ইসলাম (৩২) কে আটক করেছে।

নিহত স্বপ্নার বাবা ছিদ্দিক বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাঝিগ্রাম থেকে শুক্রবার দুপুরে স্বপ্না পাশ্ববর্তী পাকুড়িয়া গ্রামে তার ফুফু হালিমা খাতুনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। দুপুরে ফুফুর বাড়ি থেকে বের হলে ওই গ্রামের সাইদুল ইসলাম জ্যাক শিশুটিকে ধরে নিয়ে একটি বাঁশঝাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে রানা নামের অপর এক যুবকের সহায়তায় স্বপ্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। হত্যার পরে লাশ পাশের একটি কবরস্থানে ফেলে রেখে চলে যায় ওই পাষণ্ডরা। এদিকে, বিকেল থেকে স্বপ্না ফুফুর বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে শিশুটির লাশ ওই কবরস্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করে।
