এম. আর. টি. মিন্টু, শ্রীবরদীঃ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে আ’লীগ নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সুইড বাংলাদেশ শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওয়াছেক বিল্লাহ বিল্লাল (৪৫) কে হত্যা চেস্টার মামলার দু’দিন পরও গ্রেফতার হয়নি সন্ত্রাসী হামলার হোতা পলাশ। তবে ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে পলাশের পিতা-মাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে জযনাল আবেদীন ও ফজিলা বেগম। শুক্রবার তাদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
জানা যায়, ২১ আগষ্ট বুধবার ভাযাডাঙ্গা বাজারে নিজের ওষুধের দোকানে গিয়ে কথা বলার ছলে দোকান থেকে আ’লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ওয়াছেক বিল্লাহ বিল্লাল (৪৫) কে বাইরে ডেকে নেয় স্থানীয় বানিয়াপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের বখাটে পূত্র পলাশ (৩২) ও তার সহযোগীরা। ঐসময় তারা বিল্লালের কাছে চাঁদা দাবী করলে সে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে অশ্ল¬ীল ভাষায় গালিগালাজ করে । এক পর্যায়ে পলাশ ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লালকে উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত করে। ডাক চিৎকারে শুনো বাজারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা পলাশ ও তার সহযোগিদের ধাওয়া করলে তারা দৌড়ে পালায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় আহত বিল্লালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
এদিকে ওই ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাঘহাতা রোডে কাঠবাজারে একা পেয়ে বিল্লালের জেঠাতো ভাই মাসুমকে (৪২) হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে দৌড়ে পালিয়ে যায় পলাশ। পরপর দু’টি ঘটনার পরও পলাশকে গ্রেফতার করতে না পেরে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পলাশের পিতা জয়নাল ও মাতা ফজিলা বেগমকে।
এ ব্যপারে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ আলী শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্যামলবাংলাকে জানান, ওই ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাশ ও অন্যদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।
