স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারের জের ধরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট ও গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মী। এদের মধ্যে ২০ আগস্ট মঙ্গলবার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি মোঃ হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাতেম আলী চেয়ারম্যান ও আব্দুল আওয়াল চৌধুরীসহ ১২ জন এবং বুধবার নকলার টোটন চৌধুরী, রাব্বী নুর চৌধুরীম এনামুল হক রিপন, মহিউদ্দিন মোক্তার, বুলবুল আহমেদ ও মামুন সওদাগরসহ ২৫ নেতাকর্মী অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন।
জানা গেছে, ওই ২ মামলায় এজাহারনামীয় ৭২ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে ৩৭জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ায় এবং মিরাজ উদ্দিন ও বিপিন তালুকদার নামে দুজন কারাগারে আটক থাকায় অন্যরা এখনও পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের গৃর্দানারায়নপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একাধিক মামলার পলাতক রবিউল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গাড়ী ভাংচুর এবং পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ তাদের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে সদর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, শেরপুর সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ও হাতেম আলী চেয়ারম্যান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরে আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক লালন মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান রূপম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ ৭২ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়।
