বিশেষ প্রতিনিধি : শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় প্রেমিকের কোলে কীটনাশক পান করে প্রেমিকার আত্মহত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামাচাপার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিক এনামুল বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় প্রেমিকা ফুলবানু (১৭) ১৩ আগস্ট কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। ফুলবানু উপজেলার টাংগারপাড়া গ্রামের আক্কাছ আলীর মেয়ে। ওই ঘটনায় পুলিশ একটি ইউডি মামলা নেয়। আর ফুলবানুর খালাতো ভাই-প্রেমিক পৌর শহরের আটাকান্দা গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে এনামূলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করলেও তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় ভিন্ন মামলায়। প্রেমিকের কোলে প্রেমিকার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এখনও তোলপাড় চলছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনামুল হকের সাথে তার খালাতো বোন ফুলবানুর দীর্ঘদিন যাবত মন দেয়ানেয়া চলছিল। ১৩ আগস্ট এনামূল হক ফুলবানুকে বিয়ের প্রলোভনে তার বাড়ি থেকে তাকে আত্মীয়ের বাড়ি কোচনীপাড়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে সে ওই কক্ষে তার কোলে বসেই কীটনাশক পান করে। এতে ফুলবানুর অবস্থা বেগতিক হলে তাকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এর পর এনামূল হক তার লাশ ফুলবানুর বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ওই ফুলবানুর পরিবার ধর্ষণ-আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠালেও থানায় রেকর্ড হয় একটি ইউডি মামলা। এরপরও এনামুলের লোকজন ফুলবানুর পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এছাড়া এনামুলের পক্ষে একটি প্রভাবশালী মহল হাসপাতালসহ একাধিক জায়গায় নানাভাবে তয়-তদবির করে ঘটনাটি ধামাচাপার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফুলবানুর মা বাবা ও আত্মীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশিরা তার ওই অকাল মৃত্যুর জন্য এবং তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য এনামূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। এ জন্য তার শাস্তির দাবিও করছেন তারা।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তাদের আত্মীয় এনামূলকে প্রেমিক অভিযোগে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে । ময়না তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে হত্যা মামলা হবে।
