ads

সোমবার , ১৯ আগস্ট ২০১৩ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পাবনার ঈশ্বরদী মোকামে ৬শ চাতাল বন্ধ : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
আগস্ট ১৯, ২০১৩ ৭:১২ অপরাহ্ণ

millpic-2এস, এম, আজিজুল হক, পাবনা : উত্তরবঙ্গে চালের অন্যতম বৃহৎ মোকাম পাবনার ঈশ্বরদীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রকার চালের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় (৮৪ কেজি) ৩শ টাকা। মোকামে দাম বাড়ার প্রভাব  পড়েছে স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বাজারে।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে মোকামে বিভিন্ন প্রকার চালের দাম গড়ে বেড়েছে বস্তা প্রতি (৮৪ কেজি) ৩শ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। নিয়ন্ত্রনহীন দাম বাড়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা ধারনা করছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং মোকামে ধান না পাওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঈশ্বরদীর জয়নগর মোকামের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগে ওই মোকামে মিনিকেট চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে যেখানে ৩ হাজার টাকা, ১৯ আগস্ট সোমবার একই মোকামে সেই চাল  বিক্রি হয় ৩ হাজার ৩শ টাকা দরে। একই সঙ্গে বি-আর-২৮ চাল বিক্রি হয় ২ হাজার ৬’শ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৮’শ ৫০ টাকা, বিআর-২৯ প্রতি বস্তা চাল ২ হাজার ৫’শ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৭ ’শ ৫০ টাকা ও পারিজাত চাল ২ হাজার ৪’শ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৬’শ টাকা দরে বিক্রি হয়। তারা আরও জানান, এবার তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ধানের কোন মহাজন বা বিক্রেতা পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলে কিছুদিন আগে ঘুর্ণিঝড় মহসেনের কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে যে পরিমাণ ধান ঈশ্বরদীর মোকামে পাওয়ার কথা ছিলো, তার সিকি ভাগও পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে তারা উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগা থেকে বেশি দামে ধান সংগ্রহ করছেন। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মোকামে চালের দাম বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আলী বিশ্বাস জানান, পর্যাপ্ত ধানের অভাবে ঈশ্বরদীর ৬শ চাতাল বা ধানের মিল ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। দুই একটি মিলে পূর্বের ধান মজুদ থাকায় সেখানে চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। চাতাল মালিকেরা জানান, চাল উৎপাদনের জন্য ঈশ্বরদীর ৬শ চাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার মন ধানের প্রয়োজন হয়। সেই তুলনায় মোকাম থেকে কোন ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। পূর্বের মজুদকৃত সামান্য কিছু ধান দিয়ে চাল উৎপাদন চলছে। তারা আরও জানান, ধানের অভাবে ওই মোকামের ৯০ শতাংশ মিল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। মোকামের চাল ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম রিংকু জানান, সারা বাংলাদেশের পাইকারী মহাজনেরা ঈশ্বরদীর মোকাম থেকে চাল কিনে থাকেন। কিন্তু তারা এবার এখানে চাল কিনতে আসলেও দাম বেশি হওয়ার কারনে চাল কিনতে চাচ্ছেন না। আবার অনেক মহাজন বেশি দামে চাল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে খুচরা বাজারে বিক্রেতারা চালের দাম কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর মোকামে গত দুই-তিন দিন ধরে ক্রেতা কম আসছেন। ব্যবসায়ীদের ধারনা, চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা চাল কিনতে ঈশ্বরদীর জয়নগর মোকামে আসছেন না।
উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী মোকামে প্রায় ৭-৮শ ধানের মিল বা চাতাল রয়েছে। ওইসব চাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ চাতাল বন্ধ হয়ে পড়ায় সিংহভাগ চাতাল শ্রমিক এখন বেকার হয়ে বসে আছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!