স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারের জের ধরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের পুলিশ অ্যাসল্ট ও গাড়ী ভাংচুরের পৃথক দুটি মামলায় ২ ছাত্রদল নেতার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১৮ আগস্ট রবিবার শেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সেলিম মিয়া দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ২ দিনের এবং পুলিশ অ্যাসল্টের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হচ্ছে মিরাজ উদ্দিন ও বিপিন তালুকদার। দ্রুত বিচার মামলায় ৭ দিন এবং পুলিশ অ্যাসল্টের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে উভয় মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন আদালত।
কোর্ট ইন্সপেক্টর জিয়াউল হক আদালতে ২ ছাত্রদল নেতার রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামলবাংলাকে বলেছেন, আজকালের মধ্যেই স্ব-স্ব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের গৃর্দানারায়নপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একাধিক মামলার পলাতক রবিউল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রঘুনাথবাজারস্থ জেলা বিএনপির অফিসের সম্মুখে রাস্তায় নেমে চলাচলকারী ৬টি গাড়ী ভাংচুর করে এবং পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ তাদের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই ঘটনায় সদর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, শেরপুর সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ও হাতেম আলী চেয়ারম্যান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরে আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক লালন মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান রূপম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ ৭২ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে, ওই মামলার কারণে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাত থেকেই গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
