শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আধুনিক কবি শ্রেষ্ঠ শামসুর রাহমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে ১৭ আগস্ট শনিবার। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
তার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বনানী কবরস্থানে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় কবির পরিবারের সদস্য ও তাঁর অনুরাগীরা অংশ নেন। বিকেলে পরিবারের উদ্যোগে ৩/১ শ্যামলী প্রথম গলির কবির বাসভবনে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের সম্পাদক ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, রাজধানীর শ্যামলীর ১ নম্বর সড়ক ধরে কিছু দূর এগোলেই ৩/১ নম্বরের ছোট্ট দোতলা যে বাড়িটি, গাছ-গাছালি ঘেরা ওই বাড়িটি এক সময় মুখর থাকত কবির ভক্ত ও অনুরাগীদের পদচারণায়। কেউ আসতেন কবিকে দেখতে, কেউ আসতেন কবিতার জন্য। দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমান ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেন। দেশমাতৃকার কথা বলতেন। কবিতার কথা বলতেন। আর এভাবেই সারা দিন নানা ধরনের মানুষের পদচারণে আনন্দমুখর থাকত কবির বাড়ি, মুখর থাকত শ্যামলীর ১ নম্বর সড়কটি। আজ কবি শামসুর রাহমানের স্মৃতি ও স্বপ্নঘেরা ওই বাড়ির নিচতলার অগোছালো পাঠাগার, দোতলার লেখার টেবিল, বইপত্র সবই আছে। কিন্তু কবি নেই। ৭ বছর ধরে বাড়িটি যেন ‘শূন্যতায় তুমি শোকসভা’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আছে কবির স্মৃতিঘেরা সেই ছোট্ট সড়কটিও। কিন্তু কবির প্রিয় স্মৃতির শহরে নেই তাঁর কোনো স্মৃতিস্মারক, নেই তাঁর নামে কোনো সড়ক, নেই কোনো স্থাপনাও। এজন্য দেশের প্রধান কবির স্মৃতি সংরক্ষণে শামসুর রাহমানের ভক্ত-অনুরাগী ও পরিবারের সদস্যরা শ্যামলীর ১ নম্বর সড়কটি কবির নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন।