জুবায়ের রহমান : শেরপুর-৩ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ একেএম ফজলুল হক চাঁন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের সাড়ে ৪ বছরের মেয়াদকালে তার নির্বাচনী এলাকা শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় ৩শ ১৭ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা একই সময়ে বিগত সরকারগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি ১৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্যামলবাংলাসহ কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে তার মাধ্যমে উন্নয়নের ওই তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বেগম মুজিবসহ ১৫ আগস্ট কালরাতে ইতিহাসের বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের নিন্দা ও ওই ঘটনায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের সাড়ে ৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এসময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন ৪৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও নতুন রাস্তা নির্মাণবাবদ ৫৩ কোটি টাকা, বৃহত্তর ময়মনসিংহ প্রকল্পের আওতায় ১৬ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে ১১ কোটি টাকা, নর্দান প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে ১১ কোটি টাকা, আরটিআইপি প্রকল্পের আওতায় ১৮.৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ ব্যয় ২০ কোটি টাকা, পৃথক পৃথকভাবে ৩টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নতুন ভবন নির্মাণ ব্যয় ২৫ কোটি টাকা, জাইকার অর্থ সহায়তায় শ্রীবরদী পৌরসভার উন্নয়নকাজে ব্যয় ১১ কোটি টাকা, সড়ক ও জনপথ (যোগাযোগ) খাতে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ ব্যয় ৪১ কোটি টাকা, শেরপুর-শ্রীবরদী ভায়া কুরুয়া-কুড়িকাহনীয়া ২৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ব্যয় ৩৫ কোটি টাকা ও ঝূলগাও-ঝিনাইগাতী সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এছাড়া শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীর বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ২৬ কোটি টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ব্যয় করা হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য সেবা খাতে ৫০ শয্যার হাসপাতাল সংস্কার ও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীর বিভিন্ন এলাকায় ১৭৮ কিলোমিটার এলাকা নতুন করে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। ওইসব উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। বাকী কাজ এই সরকারের মেয়াদে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় ভৌত গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাখাতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে এলাকার সর্বস্তরের জনতা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করবে। তিনি শ্রীবরদী-শেরপুর ভায়া কুরুয়া-কুড়িকাহনীয়া রাস্তাটির ভগ্নদশা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই রাস্তাটি বর্ধিতকরণ ও পুন:নির্মাণে একটি প্রস্তাব মন্ত্রী পরিষদে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোন সরকারের ৫ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের হাতে থাকা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে কমপক্ষে ২ টার্ম সরকারে থাকা প্রয়োজন। তাই আগামী নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।
