ads

শনিবার , ১৭ আগস্ট ২০১৩ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে পুলিশ পরিদর্শক স্বস্ত্রীক খুন : মেয়ে ঐশী ও তার বান্ধবীসহ আটক ৫

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
আগস্ট ১৭, ২০১৩ ১১:০৯ অপরাহ্ণ

Oisiশ্যামলবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর শান্তি-নগরের চামেলীবাগের বাসা থেকে ১৬ আগস্ট শুক্রবার পুলিশের বিশেষ শাখার এক পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান (৪৮) ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসার বাথরুমের মেঝেতে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দুটি পড়ে ছিল। লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের এক দিন আগে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের গলা, বুক, পেটসহ শরীরে জখমের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বঁটি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মাহফুজুর রহমানের বাবার নাম মৃত আবদুল মতিন। ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় মাহফুজুরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ আকনপাড়ায়। মাহফুজের স্ত্রী স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। ১৯৮৪ সালে উপপরিদর্শক হিসেবে এসবিতে যোগদান করেন মাহফুজুর রহমান। পরে পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক হন।
এদিকে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক বলে মনে হলেও ঘটনার পর থেকে নিহত দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী (১৭) ও গৃহকর্মী সুমি (১৩) গা ঢাকা দেওয়ায় এখন ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। পুলিশ প্রথম থেকেই ধারণা করছিল,  কয়েকজন মিলে বৃহস্পতিবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আর ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পলাতক বা নিখোঁজ মেয়ে ঐশীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। যে কারণে ঐশী ও গৃহকর্মীর খোঁজে শুক্রবার রাত থেকেই অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এদিকে, শনিবার বিকেলে ঐশীর বান্ধবী তৃষাসহ ৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে ডিবি আফিসে। ডিবি পুলিশ জানায়, ঐশীর বাবা স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে। প্রথমে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ  করে। পরে ঐশীকে নিয়ে অভিযানে বের হয় ডিবি। এর কিছুক্ষণ পরই তাদের আটকের খবর জানায় ডিবি। এদের মধ্যে নিহত ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমানের বাসার গৃহকর্মী সুমি রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী তার ছোট ভাই ওহীকে নিয়ে বান্ধবী তৃষার বাসায় ছিল। শনিবার দুপুরে ঐশী পল্টন থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাকে নিয়েই পরে অভিযানে নামে পুলিশ।পুলিশ জানায়, মেয়ে ঐশীর পরিকল্পনাতেই হত্যার শিকার হন এই দম্পতি। বাবা-মা খুন হয়ে যাওয়ার পরও একমাত্র মেয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল।
আত্মীয়স্বজনেরা জানান, ঐশীর উচ্ছৃঙ্খলতাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তার বাবা-মা। এ কারণে রমজানের আগে থেকেই তারা বাসার দারোয়ানদের বলে রেখেছিলেন, মেয়েকে একা যেতে দেখলে যেন যেতে না দেওয়া হয়। কিন্তু সেই মেয়েই কাল হলো দু’জনের। হত্যাকাণ্ডে ঐশী জড়িত এ ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই তদন্তে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও স্বজনেরা বলছেন, বাবার খুনের পর স্বাভাবিক আচরণ করে সবার চোখে ধুলো দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। ঐশী রহমান ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও-লেভেলের শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!