স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের চিচিংপাড়া গ্রামে অনুপ্রবেশকালে চোর সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত ২ আদিবাসী যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। এরা হচ্ছে, রাংটিয়ার শ্রীকান্ত কোচের ছেলে হেমন্ত কোচ ও প্রেমানন্দ কোচের ছেলে হেদা কোচ। নাকুগাও সীমান্তে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফের দীর্ঘ পতাকা বৈঠক শেষে ১৪ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি ও পুলিশ এবং ভারতীয় পুলিশের উপস্থিতিতে বিএসএফের কাছ থেকে ওই লাশ গ্রহণ করে। এসময় নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও এক মেডিকেল অফিসারও উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফদের সাথে পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিজিবি ২৭ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-অধিনায়ক মেজর মো: আমজাদ হোসেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১২ আগস্ট সোমবার রাংটিয়া গ্রামের শ্রী কান্ত কোচের ছেলে হেমন্ত কোচ, প্রেম আনন্দ কোচের ছেলে শীতল কোচ, ওয়াজেদ কোচের ছেলে সজীব কোচ, জয়ন্ত কোচের ছেলে যুগান্তর কোচ ও বিনেন্দ্র কোচের ছেলে বিশ্বনাথ কোচ সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে তারা বাড়ি না ফিরলে তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজা খোঁজি করে। পরদিন সজীব কোচ, যুগান্তর কোচ ও বিশ্বনাথ কোচ বাড়ি ফিরে। কিন্তু তাদের সাথে যাওয়া হেমন্ত কোচ ও শীতল কোচ চিচিংগাপাড়ায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বলে তারা তাদের পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে তারা জানতে পারে হেমন্ত কোচ ও শীতল কোচ গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় নকসি বিজিবি ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। বিষয়টি সম্পর্কে বিজিবি মঙ্গলবার অবগত হয়ে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। ওই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় নিহত ২ আদিবাসী যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত হয় ভারতের তুড়ায়। যে কারণে তুড়া থেকে সহজ পথ নাকুগাও সীমান্তে বুধবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠক শুরু হলে চলে দীর্ঘক্ষণ। এরপর নিহত ২ আদিবাসী যুবকের লাশ হস্তান্তর করা হয়। বুধবার রাত পৌণে ১১টায় শ্যামলবাংলাকে ওই লাশ হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-২৭, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-অধিনায়ক মেজর মো: আমজাদ হোসেন।
