শ্যামলবাংলা ডেস্ক : যমুনা নদীর ওপর দুটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিপত্রের আলোকে পিপিপির ভিত্তিতে সেতু দুটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ওই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দেশের উত্তর-পশ্চিম-পূর্বাঞ্চল দূরত্ব কমানো, ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোর যাত্রী ও মালামাল পরিবহণে রেলওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওই সেতু দুটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। এর ফলে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্রাক বিশিষ্ট একটি এবং ফুলছড়ি-বাহাদুরবাদ ঘাট রেলসেতু নির্মাণ করা হলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ডুয়েলগেজ ডাবল ট্রাক বিশিষ্ট সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ফুলছড়ি-বাহাদুরবাদ ঘাট পর্যন্ত অ্যাপ্রোচ লিঙ্কসহ প্রায় ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেলসেতু নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ২ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, সেতু দুটি নির্মাণ হলে আমদানি ও রফতানির জন্য মালামাল পরিবহণে রেলপথের ব্যবহার বৃদ্ধি, মালামাল পরিবহণে উন্নতমানের ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তন, রেলওয়ের মোডাল শেয়ার বৃদ্ধি, অধিক সংখ্যক যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিতকরণ, রেলওয়ের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী করিডোরের সেকশনাল ক্যাপাসিটি বর্ধিতকরণ, সড়ক পথের চেয়ে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও বেশি নিরাপদে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে। সেতু দুটি নির্মিত হলে দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য সমস্যার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু বন্ধ থাকলে প্রস্তাবিত সেতু দিয়ে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া ফুলছড়ি-বাহাদুরবাদ ঘাট সেতু নির্মিত হলে রংপুর, দিনাজপুরের সঙ্গে জামালপুর, মংমনসিংহ ও ঢাকার যোগোযোগের দূরত্ব কমে যাবে।
