শ্যামলবাংলা ডেস্ক : মিশরের সেনা সমর্থিত সরকার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের বিশাল দু’টি অবস্থানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। ১৪ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল থেকে ওই রক্তাক্ত অভিযান শুরু হয়। এখন পুলিশ সেখানকার রাস্তা আটকে রেখেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের মুর্হুমুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেদেশে ব্যাপক রক্তপাতের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে কার্যকর করলো সেনা সমর্থিত সরকারের যৌথ বাহিনী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিবেক প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। নিন্দা জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ওই অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত: মুরসি সমর্থক ১২০ ব্যক্তি নিহত ও ২ সহস্রাধিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইখওয়ানুল মুসলেমিন। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী। অবশ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যে ওই অভিযানে ১৫ ব্যক্তি নিহত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেই সাথে বলা হচ্ছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে রাবা আল-আদাবিয়া ও নাহদা স্কয়ারে অবস্থিত মুরসি সমর্থকদের বিক্ষোভ ক্যাম্প সরিয়ে দেয়ার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেয়ার কথাও।
উল্লেখ্য, মিশরের সেনাবাহিনী দেশের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তার সমর্থকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন। তারা মুরসিকে আবার ক্ষমতায় বহালের দাবি জানাচ্ছেন।