পাবনা সংবাদদাতা : প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি খুলে শিক্ষার্থী. শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ বিপাকে পড়েছেন। এ সব বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী সরকারের উপবৃত্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক স্তরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণি খোলার আদেশ দেয়। ওই আদেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে। নিয়মানুযায়ী উপবৃত্তির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। ১৯ জুলাই হতে মাধ্যমিক-নিু মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হলেও ঐ সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন বরাদ্দ নাই। এ কারনে অনেক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়গুলো ত্যাগ করে যেখানে উপবৃত্তি সুবিধা রয়েছে সেখানে চলে যেতে শুরু করেছে। এতে শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক স্তরে উন্নীতকরণের কর্মসূচীও ভেস্তে যাবার উপক্রম হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সরকারের নির্দেশে জেলার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি খোলা হলেও পঞ্চম শ্রেণীর বাইরে উপবৃত্তির বিষয়ে তাদের কাছে কোন নির্দেশনা নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার কুতুব উদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির একটি তালিকা অধিদপ্তরে পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্র উপবৃত্তি গ্রদানের কাজ চলছে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নি¤œ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির উপবৃত্তি, পাঠ্য পুস্তক বিতরণ ও মনিটরিং এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক না মাধ্যমিক অধিদপ্তর কাজ করবে সে বিষয়েও সুষ্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই বলে ওই দুটি বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অবশ্য বিভাগীয় কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা ও মনিটরিং করে প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় তত্ত্বাবধান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্ত: মন্ত্রণালয়ের সম্বনয়হীনতাই এই জটিলতার কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।
