শাহ আলম বাবুল : উৎসব শব্দের অর্থ আনন্দময় অনুষ্ঠান। সাধারনভাবে বলা যায় আ›নন্দ লাভ বা প্রকাশ করার মাধ্যমই হল উৎসব । পৃথিবীর মানুষের মাঝে ধর্মীয় ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ধরণের উৎসব এর প্রচলন রয়েছে। আর প্রতিটি উৎসবেরই রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা । তবে প্রতিটি উৎসবের মাধ্যমেই ঘটে মিলন আর ঐক্য তত্ত্বের প্রকাশ। । বিশ্ব মুসলিমের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব , মিলন আর ঐক্যের ভিত্তি মজবুত করতে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ উৎসব হল ঈদ। পবিত্র রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর পালিত হয়। পবিত্র রমজান আত্মশুদ্ধি ও আত্মোপলব্ধির মাস। ধর্মীয় মূল্যবোধে ইসলামী অনুশাসনের ধারায় সমগ্র মাস প্রতিটি মানুষকে বিরত থাকতে হয় মিথ্যা ,অন্যায়, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সমাজে হানাহানি, এবং সকল প্রকার প্রবঞ্চনা,থেকে। ইসলাম বছরের কোন সময়ই একাজগুলো সমর্থন করেনা । ইসলামের বিধান মতে জীবন পূর্ণগঠনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে এ মাসেই। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মানুষ নিজেকে তৈরী করবে এবং বছরব্যাপি তার প্রতিফলন ঘটাবে এটাই অর্ন্তনিহিত উদেশ্য গুলোর একটি। একজন মুসলমান হিসেবে একমাস সিয়াম সাধনার পর সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সুযোগ নিয়ে আসে ঈদ।
ঈদ আত্মার সাথে যোগাযোগ ঘটায়। এটা , যারা সারা মাস আল্লাহর নির্দেশ মতে আল্লাহর বিধান পালন করছে সেসব ধর্মপ্রান মুসলমানদের জন্য অবশ্যই অধিক আনন্দের উৎসব। ঈদ জাগতিক ও আধ্যাত্মিক যোগাযোগের বাস্তব সুযোগের উৎসাহ । যদিও ঈদের দিনের সাধারণ দৃশ্য হল নামাজের পর শুভেচ্ছা বিনিময়, আপনজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে দেখাশোনা করা। এর মধ্যেও রয়েছে অসীম গুরুত্ব। বাংলাদেশ পৃথিবীর সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম দেশ গুলোার মধ্যে অন্যতম । আমরা আশাকরি অধিকাংশ মুসলমানের এই দেশে বিদায়ী পবিত্র রমজানের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, সমাধান হবে দেশের চলমান অস্থিরতার। আসুন এ উপলক্ষে আমরাও প্রতিজ্ঞা করি যেন ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি ।
