শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আর মাত্র কিছুটা সময় পরেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করার স্বপ্ন নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল- যাত্রা পথেই প্রাণ হারাতে হল তাদের। আনন্দ বিলীন হয়ে যেন তাদের স্বজনদের জন্য কান্নাই হলো এই ঈদের উপহার।
৭ আগস্ট বুধবার সকালে নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা ফিরতে গিয়ে শ্যামপুর গেন্ডারিয়ায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ যাত্রী আর জানালা দিয়ে অসতর্কভাবে মাথা বের করে রাখায় রাস্তার পাশের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারা যান বগুড়ার সিরাজুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ বন্দর রেল স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী ট্রেনটি ভেতরে ও ছাদে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকায় আসছিল। ট্রেনটি গেন্ডারিয়া স্টেশনে আসার পরে প্লাটফর্মের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই জাকির হোসেন নিহত হন। এসময় নুরু মিয়া আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসময় আরও কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত যাত্রী থাকার কারণেই ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেনের ছাদে ওঠেন ঢাকা ফিরছিলেন। তারা ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের ছুটিতে যাচ্ছিলেন। নিহত ২ জনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সকাল ৮টার দিকে একতা এক্সপ্রেস নাটোরের মাধনগর স্টেশন পার হওয়ার সময় সিরাজুল জানালা দিয়ে মাথা বের করে ছিলেন। এ সময় লাইনের পাশের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নাটোরের মাধনগর রেলস্টেশনের মাস্টার নূরে আলম জানান, ট্রেনটি ঢাকা থেকে লালমনিরহাট যাচ্ছিল। নিহত সিরাজুল (৩৬) বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে। সিরাজুলের লাশ সান্তাহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানিয়ে রেলওয়ে পুলিশ বলেছে, ময়নাতদন্ত শেষে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।