এম.আর.টি. মিন্টু : আর্ন্তজাতিক নাট্যোৎসব থেকে দেশে ফিরে শেরপুরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মুহম্মদ খুররম বলেছেন, ওই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে দুই বাংলার পারস্পারিক সৌহার্দ্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি ৬ আগস্ট মঙ্গলবার শ্যামলবাংলাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ওই অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসাধারন অবদান বাংলাদেশের তরফ থেকে ওই উৎসবে তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে দুই দেশের ভাতৃত্ববোধ এমনভাবেই জাগ্রত হয়েছে যার মাধ্যমে বর্তমান বিদ্যমান সমস্যাসমূহ দ্রুত দূর করার পথ সুগম হয়েছে। এখন সেগুলো দূর হলে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য আরও বৃদ্ধি পাবে, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছা সহজ হবে। এছাড়া মেলায় অংশ নিতে পেরে তিনি সরকার ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও রাজনীতিক খন্দকার মুহম্মদ খুররম সম্প্রতি কলকাতায় আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে যোগদান করেন। রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি সস্ত্রীক ওই উৎসবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের অনুপস্থিতিতে এই সাংস্কৃতিক সংগঠক বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ১২৫ সদস্যের নেতৃত্ব দেন। ১৫ জুলাই মেলাটি কলকাতা বেলঘরিয়া কামারহাটি নজরুল মঞ্চে উদ্বোধন হয়ে ২৪ জুলাই সমাপ্ত হয়। মেলা উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পশ্চিম বাংলা সরকারের ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী শ্রী মদন মিত্র উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শওগতা রায় এমপি ও কামারহাটি মিউনিসিপাল চেয়ারম্যান তমাল দে ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। জমকালো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে ‘পূবের গান’ পর্বে অংশ নেন ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের গুনী শিল্পীদের মধ্যে ইফফাত আরা, বুলবুল ইসলাম, শারমিন সালমা ইসলাম, ঝুমা খন্দকার প্রমূখ। আন্তর্জাতিক বাংলা নাট্য উৎসবে চট্রগ্রামের তীর্যক নাট্য দলের ‘রক্ত কবরী’, যশোরের বিবর্তন নাট্য গোষ্ঠীর ‘বিসর্জন’ এবং ঢাকার দৃষ্টিপাত গোষ্ঠীর সকোক্লিসের কিং ইডিপাস অবলম্বনে বাংলা রুপান্তর ‘রাজা হিমাদ্রী’ অজস্র দর্শকের উপস্থিতিতে মনমুগ্ধকর পরিবেশে মঞ্চায়িত করে প্রশংসা কুড়িয়েছে উপস্থিত দর্শকদের । উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব খন্দকার মুহম্মদ খুররমকে মেলা উদযাপন পরিষদ ও পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পক্ষ হতে প্রভাবশালী মন্ত্রী শ্রী মদন মিত্রের হাতে গোল্ডপেইন্ট ক্রেস্ট উপহার দিয়ে সংবর্ধিত ও সম্মানিত করা হয়।
