শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বারবাডোজ ট্রাইডেন্টের তৃতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসান যেন জ্বলে উঠলেন সত্যিকারের ‘ত্রিশূল’ই হয়ে উঠেছিলেন। যাতে বিদ্ধ হয়েছে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিল। সাকিবের অল্পের জন্য বিশ্বরেকর্ড ছুঁতে না পারা বোলিং পারফরম্যান্সে ৪ উইকেটে জিতে টানা তৃতীয় জয়ের মুখ দেখেছে তাঁর দল। শুধু তাই নয়, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বোলিং ২ ইনিংস মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়ুও নামিয়ে এনেছিল মাত্র ২০.৫ ওভারে! রান হয়েছে মাত্র ১০৫।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোকে মাত্র ৫২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথ তৈরী করেছেন সাকিব আল হাসান। সেই সাথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় এবং নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে রেকর্ড গড়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুলাই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া আসরে গ্লামোরগনের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সেরা বল করেছিলেন সমারসেটের মালয়েশিয়ায় জন্ম নেওয়া ইংলিশ ক্রিকেটার আরুল সুপিয়াহ। ৩.৪ ওভার বল করে ৫ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ৫ আগস্ট সোমবার ভোররাতে বারবাডোজের কেনসিংটন ওভালে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন সাকিবও। ৪ ওভার বল করে একটি মেডেনও নিয়েছেন। তবে সুপিয়াহর চেয়ে খরচ করেছেন ১ রান বেশি। অবশ্য বোলিংই নয়, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর পুরো ইনিংসেই ছিল ‘সাকিব শো’। কারণ প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকে জেসন হোল্ডার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ফিরিয়েছেন বটে; কিন্তু তাঁদের ক্যাচ দুটো নিয়েছেন সাকিবই। এরপর ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়েই প্রথম বলে উইকেট। ওপেনার ডেভি জ্যাকবস (১৩) ছাড়া ত্রিনিদাদের দুই অঙ্কে পৌঁছা অন্য ব্যাটসম্যান রস টেলরকে (১১) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পাননি কিন্তু রান দিয়েছেন ৩। তৃতীয় ওভারে নেন মেডেনসহ ৩ উইকেট। প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে আর্ম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। ২ বল পর নিকোলাস পুরানকে শর্ট লেগে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের ক্যাচ বানান। শেষ বলে কেভন কুপারকে বোল্ড করেন । শেষ ওভারে কেভিন ও’ব্রায়েন ও স্যামুয়েল বদ্রিও তাঁর শিকার। এমন অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের পর বারবাডোজের সহজ জয়ই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু ৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সুলেমান বেনের করা প্রথম ওভারেই ২০ রান নিলেও পরের ওভার থেকেই বিপর্যয়ে পরে বার্বাডোজ। ৩২ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারেই জয় তুলে নেয় বার্বাডোজ। সাকিব টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পান ম্যাচসেরার পুরস্কার।

টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং :
আরুল সুপিয়াহ ৩.৪-০-৫-৬ সমারসেট-গ্ল্যামরগন কার্ডিফ ২০১১
সাকিব আল হাসান ৪-১-৬-৬ বার্বাডোজ-টিঅ্যান্ডটি ব্রিজটাউন ২০১৩
লাসিথ মালিঙ্গা ৪-১-৭-৬ মেলবোর্ন স্টার্স-পার্থ পার্থ ২০১২
অজন্তা মেন্ডিস ৪-২-৮-৬ শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে হাম্বানটোটা ২০১২
সোহেল তানভির ৪-০-১৪-৬ রাজস্থান-চেন্নাই জয়পুর ২০০৮
