স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পুলিশ হেফাজতে থাকা আজাহার উদ্দিন নামে রিমান্ডের এক আসামীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, হার্ট এ্যাটাকে তার মৃত্যুর কথা। ওই ঘটনায় ২ আগস্ট শুক্রবার সকালে উত্তেজিত জনতা নিহতের লাশ নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্ন্যাসীভিটা চেল্লাখালি গ্রামের ভাতিজা রহিম হত্যা মামলায় পুলিশ চাচা আজাহার উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ৩১ জুলাই বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ডে) নেয় নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাফর আলী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজাহার আলী বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাজুল ইসলাম আজাহারকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে তারা লাশসহ মিছিলটি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত কৃষিমন্ত্রীর ভিজিএফ চাল, ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মঞ্চে উঠে ঘটনার বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তদারকি নিশ্চিত করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ওই ঘটনায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ওসি গোলাম হায়দার পুলিশী হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শুক্রবার সকালে রিমান্ডে থাকা আজাহার উদ্দিন বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং ভর্তির পর সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। একই ধরনের তথ্য দিয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে আজাহার উদ্দিনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ উঠায় যথাযথ আইনী পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে।
