শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বহুল আলোচিত বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী নিহতের ঘটনায় অবশেষে বিচার শুরু হচ্ছে ভারতে বিশেষ আদালতে
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ১৩ আগস্ট কুচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এমামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ফেলানীর বাব,মামাসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে। আগামী ১৯ আগস্ট তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মার্চে নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএসএফের মহাপরিচালক। তারই ধারাবাহিকতায়
বিএসএফ সদর দপ্তর সম্প্রতি ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’ গঠন করে এবং আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশের দু’জন সাক্ষী, একজন আইনজীবী এবং বিজিবির একজন প্রতিনিধিকে ভারতে যেতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুড়িগ্রামের ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন এবং ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম ও মামা মো. আব্দুল হানিফকে ভারতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘ সময় কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ঝুলে ছিল ফেলানীর লাশ। ওই ঘটনায় সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য বিভিন্ন বৈঠকে বিএসএফ’র ওপর চাপ দিয়েও আসছিল বিজিবি।