
শ্যামলবাংলা ডেস্ক : এবার র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন খান মিল্কির প্রধান ঘাতক জাহিদ সিদ্দিক তারেক। এ সময় তারেককে ছিনিয়ে নিতে আসা শাহ আলম নামে আরেক ব্যক্তিও ক্রসফায়ারে নিহত হয়।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমানের ভাষ্যমতে, ৩১ জুলাই বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে থানায় নেয়ার পথে ওই ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় র্যাবের ২ জন সদস্যও আহত হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে গুলশান-২ নম্বরে শপার্জ ওয়ার্ল্ডের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে। শপার্জ ওয়ার্ল্ডের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ওই হত্যার ওই দৃশ্য। দেখা যায়, সাদা রঙের পাজামা-পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি (গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা তারেক) মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসছেন। সামনে একটি পাজেরো গাড়ি থেকে পাঞ্জাবি পরিহিত আরেক ব্যক্তি (খুন হওয়া মিল্কি) নেমে এলেন। মোবাইল ফোনে কথা বলা ওই ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে আসা ব্যক্তির মাথায় ডান হাত দিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লে সেখানেও কয়েক দফা গুলি চালান ওই ব্যক্তি। এ সময় আরো এক যুবক এসে পেছন থেকে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি করে। মিশন শেষে পাশে দাঁড়ানো মোটর সাইকেলের পেছনে উঠে পালিয়ে গেলেন গুলি করা ওই ব্যক্তি। লুটিয়ে পড়ে থাকে একজনের লাশ। এরপর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে লাশ গ্রহণ করেন মিল্কির ভাই মেজর রাসেল। মঙ্গলবার রাতে তিনি বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ্য ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি মিল্কি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তারেক ও শাহ আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
ঘটনার পরপরই র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর শপার্জ ওয়ার্ল্ডের প্রবেশমুখের সিসিটিভির ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে। র্যাব বুধবার গ্রেফতারকৃতদের মামলার তদন্তকারী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে পুলিশ তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
