শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের দেয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট মামলার রায় হচ্ছে ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার। মূলত: এটি হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে অস্তিত্বের রায়।
৩১ জুলাই বুধবার বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রিট মামলাটি রায়ের জন্য কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার রায়ের কার্যতালিকায় ওই মামলাটি শীর্ষে রয়েছে।
এর আগে ১২ জুন দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির এবং ইসির পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মহসিন রশিদ। অপরদিকে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
১০ মার্চ জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। এরপর বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এর উপর শুনানি হয়।
এর আগে রিট আবেদনটিতে সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য তা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জোম হোসেন ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ আবেদনকারী ২০০৯ সালে রিটটি দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি আবদুল হাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টির ওপর সংশ্লিষ্টদের প্রতি কারণ দর্শাতে রুল জারি করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন রিটের বিষয়ে শুনানি হয়নি। ৫ ফেব্রুয়ারির পর শাহবাগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আবার সামনে নিয়ে আসা হয়।