শ্যামলবাংলা ডেস্ক : যমুনার তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে জামালপুরের তারাকান্দি-ভুয়াপুর মহাসড়ক। এতে টানা ৪দিন ধরে ওই সড়কে সব রকম ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিঘিœত হচ্ছে ১৮ জেলায় যমুনা সার কারখানার ইউরিয়া সার সরবরাহ কার্যক্রম। ফলে যমুনা সার কারখানা থেকে টাঙ্গাইল-ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গ যাতায়াতে প্রায় ৬০ কিমি বেশি পথ ঘুরতে হচ্ছে।
এদিকে, যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কুবলিবাড়ি ও বাশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত পাঠদান বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস যমুনার তীব্র ভাঙন আতঙ্কে বৃহস্পতিবার কুবলিবাড়ি ও বাশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৪টি ঝূকিপূর্ণ ভবন নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে।
ইতোমধ্যে কুবলিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় আতংকিত অভিভাবক মহল শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান। এছাড়া বর্তমানে স্থানীয় বাশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন/নিলামে বিক্রি হলে ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক সানজিদা জাহান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফয়জুননেছা বেগম জানান, দুই বিদ্যালয়ের চারটি ভবন নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হলেও দুই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।