বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারকে আগে সমঝোতায় আসতে হবে। তারপর সেই সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বদেশ জাগরণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মওদুদ এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকারের সামনে দুটি পথ খোলা আছে—সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান অথবা সংঘাত সৃষ্টি। তবে সরকার সংঘাতে জড়ালে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকারকে বলব সংঘাতের পথ পরিহার করে সমঝোতার পথে আসুন। সব দলের সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করুন। এতে সকলেরই লাভ। কিন্তু দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিলে আওয়ামী লীগের ভয়ংকর ক্ষতি হবে। জনগণ তাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। দেশের রাজনীতি থেকে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে জনগণ জবাব দিয়ে দিয়েছে। পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মতামত দিয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান, বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক হাবিবুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান প্রমুখ।

মহানগর বিএনপির সভা
আজ সকালে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম অভিযোগ করেন, নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরেই সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
সভায় বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, বজলুল বাসিত, মকবুল আহম্মেদ আকন্দ, সামসুল হুদা, সাজ্জাদ জহির, আনোয়ারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
